গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত অনেকে জানেন না আজকে এই লিখাটির মাধ্যমে জানতে পারবেন। গলা ব্যথা একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা, যা অনেক কারণে হতে পারে—ঠান্ডা লাগা, ভাইরাস সংক্রমণ, ধুলোবালি বা অতিরিক্ত কথা বলার ফলে। এই অসুস্থতার সময় খাওয়াদাওয়ার প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি, কারণ সঠিক খাবার শরীরকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে।
গলা ব্যথার সময় এমন খাবার বেছে নেওয়া উচিত যা নরম, সহজে গিলতে সুবিধা হয় এবং গলার প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। গরম স্যুপ, লেবু-গোলমরিচ মেশানো গরম পানি, আদা-চা বা মধু মিশ্রিত কুসুম গরম পানি এসব ক্ষেত্রে খুবই উপকারী।
পাশাপাশি ঠান্ডা, শক্ত বা ঝাল জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এগুলো গলার ব্যথা আরও বাড়াতে পারে। পুষ্টিকর ও হালকা খাবার গ্রহণের মাধ্যমে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। তাই গলা ব্যথা হলে খাদ্যাভ্যাসে সামান্য পরিবর্তন এনে আরাম পাওয়া সম্ভব।
গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত ভূমিকা
গলা ব্যথা একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা যা প্রায় সকলেই কোনো না কোনো সময়ে অনুভব করে থাকেন। ঋতু পরিবর্তনের সময়, ঠান্ডা লাগলে কিংবা অন্য কোনো সংক্রমণের কারণে গলা ব্যথা হতে পারে। গলা ব্যথা হলে ঢোক গিলতে অসুবিধা হয়, অস্বস্তি লাগে এবং খাবার খেতেও সমস্যা হয়। এই অবস্থায় সঠিক খাবার নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুনঃ দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ ও সঠিক প্রতিকার জেনে নিন
কিছু খাবার গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে, আবার কিছু খাবার ব্যথা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত এবং কি খাওয়া উচিত না, সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা প্রয়োজন। এই ব্লগ পোস্টে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব গলা ব্যথা হলে আপনার খাদ্য তালিকায় কী কী অন্তর্ভুক্ত করা উচিত এবং কোন খাবারগুলো এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
এছাড়াও, গলা ব্যথা উপশমের জন্য কিছু ঘরোয়া টোটকা এবং কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত সে বিষয়েও আলোচনা করা হবে।
গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত
গলা ব্যথা হলে এমন খাবার গ্রহণ করা উচিত যা নরম, সহজে গিলতে পারা যায় এবং গলায় আরাম দেয়। কিছু খাবার প্রদাহ কমাতে এবং দ্রুত নিরাময়েও সহায়ক হতে পারে। নিচে এমন কিছু খাবারের তালিকা দেওয়া হলো যা গলা ব্যথা হলে খাওয়া যেতে পারে:
- গরম তরল খাবার: গরম তরল খাবার গলা ব্যথা উপশমে খুবই কার্যকর। এটি গলাকে ময়েশ্চারাইজ করে এবং আরাম দেয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- চিকেন স্যুপ: চিকেন স্যুপ শুধু সুস্বাদুই নয়, এটি গলা ব্যথার জন্য খুবই উপকারী। গাজর, বিনস, আলু, টমেটো, গোলমরিচ, রসুন, পেঁয়াজ এবং আদা দিয়ে তৈরি চিকেন স্যুপ গলাকে আরাম দেয় এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে। গলা ব্যথা করলে শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা বেড়ে যায়, চিকেন স্যুপ তা কমাতে সহায়ক।
- গরম চা: মধু ও লেবু মেশানো গরম চা গলা ব্যথায় তাৎক্ষণিক আরাম দিতে পারে। চা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- হারবাল চা: ক্যামোমিল, আদা, লিকার বা মেন্থল চা গলা ব্যথায় প্রশান্তি এনে দেয়। আদা চা বিশেষ করে প্রদাহ কমাতে সহায়ক।
- গরম পানি ও মধু: শুধুমাত্র গরম পানিতে মধু মিশিয়ে পান করলেও গলা ব্যথা কমে যায়। মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক এবং প্রদাহনাশক হিসেবে কাজ করে।
- নরম এবং সহজে হজমযোগ্য খাবার: গলা ব্যথা হলে শক্ত খাবার গিলতে কষ্ট হয়। তাই নরম খাবার বেছে নেওয়া উচিত, যেমন:
- ওটস: ওটস শরীরে শক্তি যোগায় এবং সহজে হজমযোগ্য। এর মধ্যে থাকা ফাইবার শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। গলা ব্যথা হলে দই ওটস বা ওটসের খিচুড়ি খাওয়া যেতে পারে।
- ডিম: ডিম প্রোটিনের ভালো উৎস এবং এটি নরম হওয়ায় গলা ব্যথা হলে খাওয়া সহজ। সেদ্ধ ডিম বা স্ক্র্যাম্বলড ডিম খাওয়া যেতে পারে।
- আলু সেদ্ধ ও ভর্তা: আলু সেদ্ধ নরম এবং সহজে হজমযোগ্য। মরিচ ভর্তার মতো নরম খাবারও খাওয়া যেতে পারে।
- ডাল: ডাল প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। পাতলা করে রান্না করা ডাল গলা ব্যথা হলে খাওয়া যেতে পারে।
- স্মুদি: ফল ও দই দিয়ে তৈরি স্মুদি গলা ব্যথা হলে একটি স্বাস্থ্যকর এবং সহজে গ্রহণীয় খাবার।
- ঠান্ডা খাবার: আশ্চর্যজনক হলেও কিছু ঠান্ডা খাবার গলা ব্যথায় আরাম দিতে পারে, বিশেষ করে টনসিলের সমস্যা বা প্রদাহ থাকলে:
- আইসক্রিম: দুধ বা ফলের রস দিয়ে তৈরি আইসক্রিম গলাকে ঠান্ডা করে এবং আরাম দেয়।
- দই: ঠান্ডা দই গলার প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। এতে থাকা প্রোবায়োটিক শরীরের জন্য উপকারী।
ঢোক গিলতে গলা ব্যথার ওষুধ নাম
ঢোক গিলতে কষ্ট হলে বা গলা ব্যথায় তীব্র হলে কিছু ওষুধ সাময়িক আরাম দিতে পারে। তবে কোনো ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সাধারণভাবে, ঢোক গিলতে গলা ব্যথার জন্য নিম্নলিখিত ওষুধগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে:
- প্যারাসিটামল: এটি একটি সাধারণ ব্যথানাশক যা গলা ব্যথা এবং জ্বর কমাতে সাহায্য করে।
- আইবুপ্রোফেন: এটি ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগ (NSAID) যা ব্যথা, প্রদাহ এবং জ্বর কমাতে কার্যকর।
- লজেন্স: বাজারে বিভিন্ন ধরনের লজেন্স পাওয়া যায় যা গলা ব্যথা উপশমে সাহায্য করে। কিছু লজেন্সে মেন্থল বা অন্যান্য উপাদান থাকে যা গলাকে ঠান্ডা রাখে।
- গলা ব্যথার স্প্রে: কিছু স্প্রে পাওয়া যায় যা গলায় স্প্রে করলে সাময়িক ব্যথামুক্তিতে সাহায্য করে।
- সর্তকতাঃ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা উচিত নয়। বিশেষ করে শিশুদের এবং গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যাবশ্যক।
গলা ব্যথা হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত
গলা ব্যথার চিকিৎসার জন্য সাধারণত ওভার-দ্য-কাউন্টার (OTC) ওষুধ যথেষ্ট। তবে কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হয়। গলা ব্যথার জন্য ব্যবহৃত কিছু সাধারণ ওষুধ হলো:
ব্যথানাশক: প্যারাসিটামল এবং আইবুপ্রোফেন হলো দুটি বহুল ব্যবহৃত ব্যথানাশক যা গলা ব্যথায় আরাম দিতে পারে। প্যারাসিটামল প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনের উৎপাদনকে বাধা দেয়, যা ব্যথা ও প্রদাহ সৃষ্টি করে। আইবুপ্রোফেন সাইক্লোক্সিজেনেস (COX) এনজাইমকে বাধা দিয়ে প্রদাহ, ব্যথা এবং জ্বর কমায়।
অ্যান্টিহিস্টামিন: যদি অ্যালার্জির কারণে গলা ব্যথা হয়, তবে অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ সাহায্য করতে পারে। ডিকনজেস্ট্যান্ট: যদি ঠান্ডা বা ফ্লু এর কারণে গলা ব্যথা হয় এবং নাক বন্ধ থাকে, তবে ডিকনজেস্ট্যান্ট ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
সতর্কতা: অ্যান্টিবায়োটিক হলো ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের জন্য, ভাইরাসের কারণে হওয়া গলা ব্যথায় এটি কোনো কাজ করবে না। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া উচিত নয়।
গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত না
গলা ব্যথা হলে কিছু খাবার এড়িয়ে যাওয়া উচিত কারণ এগুলো গলার অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে পারে বা নিরাময় প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে। নিচে এমন কিছু খাবারের তালিকা দেওয়া হলো:
- টক জাতীয় ফল: ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, তবে কিছু টক ফল যেমন – আনারস, স্ট্রবেরি, আম, জাম্বুরা এবং লেবুতে উচ্চ পরিমাণে অ্যাসিড থাকে যা গলা ব্যথা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
- এসিডিক খাবার: টমেটো এবং টমেটো সসের মতো অ্যাসিডিক খাবার গলার জ্বালাতন বাড়াতে পারে। ব্যথা না কমা পর্যন্ত এগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা উচিত।
- মসলাদার খাবার: অতিরিক্ত মসলাদার খাবার গলায় জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে এবং অস্বস্তি বাড়াতে পারে।
- ভাজা ও তৈলাক্ত খাবার: এই ধরনের খাবার হজম হতে বেশি সময় নেয় এবং গলায় অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।
- শক্ত এবং শুকনো খাবার: বিস্কুট, টোস্ট বা অন্যান্য শুকনো এবং শক্ত খাবার গিলতে কষ্ট হতে পারে এবং গলায় ঘষা লেগে ব্যথা বাড়তে পারে। যদি বিস্কুট খেতে ইচ্ছে করে, তবে গরম চায়ে ডুবিয়ে নরম করে খাওয়াই ভালো।
- দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য: কিছু লোকের ক্ষেত্রে দুধ বা দুগ্ধজাত পণ্য খেলে শ্লেষ্মা তৈরি হতে পারে, যা গলা ব্যথায় আরও অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।
- অ্যালকোহল: অ্যালকোহল ডিহাইড্রেশন ঘটাতে পারে এবং নিরাময় প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে।
- ক্যাফেইন: কফি বা অন্যান্য ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়ও ডিহাইড্রেশন ঘটাতে পারে।
গলা ব্যথা হলে কি করা উচিত
গলা ব্যথা হলে কি করা উচিত সেটা জানবো এখন খাবার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি গলা ব্যথা উপশমের জন্য আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত: পর্যাপ্ত বিশ্রাম: শরীরকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং দ্রুত নিরাময় সম্ভব হয়। গরম লবণ পানিতে গার্গল: এটি একটি ঐতিহ্যবাহী এবং কার্যকরী পদ্ধতি।
গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে দিনে কয়েকবার গার্গল করলে গলার জীবাণু দূর হয় এবং ব্যথা কমে। প্রচুর পরিমাণে তরল পান করা: পানি, চা, জুস বা স্যুপের মতো তরল খাবার খেলে গলা ময়েশ্চারাইজ থাকে এবং ডিহাইড্রেশন এড়ানো যায়।
আর্দ্রতা বজায় রাখা: শুকনো বাতাস গলার অস্বস্তি বাড়াতে পারে। হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করে বা গরম পানির ভাপ নিয়ে গলার আর্দ্রতা বজায় রাখা যেতে পারে। ধূমপান পরিহার: ধূমপান গলার irritation বাড়ায় এবং নিরাময় প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। গরম সেঁক: গলার বাইরে গরম সেঁক দিলে আরাম পাওয়া যায়।
গলা ব্যথার কারণ ও প্রতিকার
গলা ব্যথার কারণ ও প্রতিকার জানবো এখন, গলা ব্যথার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। সঠিক কারণ জেনে উপযুক্ত প্রতিকার নেওয়া উচিত। গলা ব্যথার কিছু সাধারণ কারণ হলো:
আরো পড়ুনঃ দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ ও সঠিক প্রতিকার জেনে নিন
ভাইরাল সংক্রমণ: ঠান্ডা, ফ্লু এবং অন্যান্য ভাইরাল সংক্রমণের কারণে গলা ব্যথা হতে পারে। এই ধরনের গলা ব্যথা সাধারণত কয়েক দিনের মধ্যে সেরে যায়। ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ: স্ট্রেপ্টোকক্কাস ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ (স্ট্রেপ থ্রোট) গলা ব্যথার একটি সাধারণ কারণ। এর জন্য অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হতে পারে।
অ্যালার্জি: অ্যালার্জির কারণেও গলা ব্যথা হতে পারে। শুষ্ক বাতাস: শুষ্ক বাতাস গলার আস্তরণকে শুষ্ক করে ফেলতে পারে, যার ফলে গলা ব্যথা হতে পারে। গলার পেশীতে টান: জোরে চিৎকার করা বা বেশি কথা বলার কারণে গলার পেশীতে টান লাগলে ব্যথা হতে পারে।
গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD): পাকস্থলীর অ্যাসিড খাদ্যনালীতে উঠে এলে গলা ব্যথা হতে পারে।
সঠিক প্রতিকার: কারণের উপর ভিত্তি করে গলা ব্যথার প্রতিকার ভিন্ন হতে পারে। ভাইরাল সংক্রমণের ক্ষেত্রে বিশ্রাম এবং ঘরোয়া সেবা যথেষ্ট।
ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন। অ্যালার্জির জন্য অ্যান্টিহিস্টামিন ব্যবহার করা যেতে পারে। শুষ্ক বাতাস থেকে বাঁচতে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা উচিত। GERD এর কারণে গলা ব্যথা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
দ্রুত গলা ব্যাথা কমানোর ওষুধ
দ্রুত গলা ব্যাথা কমানোর ওষুধ নাম জানবো এখন, গলা ব্যথা দ্রুত কমানোর জন্য কিছু ওষুধ এবং ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে: OTC ব্যথানাশক: প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন দ্রুত ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। লজেন্স: কিছু লজেন্স দ্রুত গলা ব্যথা উপশম করতে পারে।
গরম লবণ পানিতে গার্গল: এটি দ্রুত গলা পরিষ্কার করে এবং ব্যথা কমায়। গরম পানীয়: মধু মেশানো গরম চা বা গরম পানি দ্রুত আরাম দিতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, এগুলো সাময়িক উপশম দেয়। যদি ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়, তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ঠান্ডায় গলা ব্যথা হলে করণীয়
ঠান্ডায় গলা ব্যথা হলে করণীয়গুলো সম্পর্কে জানবো এখন, ঠান্ডা লাগলে গলা ব্যথা হওয়া খুব স্বাভাবিক। এই অবস্থায় নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো নেওয়া যেতে পারে: গরম তরল পানীয়: গরম স্যুপ, চা বা মধু মেশানো গরম পানি পান করুন।
লবণ পানিতে গার্গল: দিনে কয়েকবার গরম লবণ পানিতে গার্গল করুন।
গরম ভাপ নেওয়া: গরম পানির ভাপ নিলে গলার শ্লেষ্মা নরম হয় এবং আরাম পাওয়া যায়। পর্যাপ্ত বিশ্রাম: ঠান্ডা লাগলে শরীরকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দেওয়া জরুরি। আর্দ্রতা বজায় রাখা: ঘরের বাতাস শুষ্ক থাকলে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন। ওষুধ: প্রয়োজনে প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেনের মতো ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করা যেতে পারে, তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী।
গলা ব্যথার ঔষধ এন্টিবায়োটিক
গলা ব্যথার ঔষধ এন্টিবায়োটিক কি জেনে নিব এখন, গলা ব্যথার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক তখনই প্রয়োজন হয় যখন ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ, যেমন স্ট্রেপ থ্রোট নিশ্চিত হয়। ভাইরাসের কারণে হওয়া গলা ব্যথায় অ্যান্টিবায়োটিক কোনো কাজ করে না। স্ট্রেপ থ্রোটের কিছু লক্ষণ হলো:
- গলা ব্যথা যা হঠাৎ করে শুরু হয়।
- ঢোক গিলতে খুব কষ্ট হওয়া।
- জ্বর (101°F বা তার বেশি)।
- গলায় লাল বা সাদা দাগ দেখা যাওয়া।
- মাথা ব্যাথা বা পেটে ব্যাথা হওয়া।
যদি এই লক্ষণগুলো দেখা যায়, তবে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ডাক্তার গলার সোয়াব পরীক্ষা করে ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ নিশ্চিত করলে অ্যান্টিবায়োটিক prescription করতে পারেন। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করা ক্ষতিকর হতে পারে এবং অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত উপসংহার
গলা ব্যথা একটি অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতা হলেও, সঠিক খাদ্য নির্বাচন এবং কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বনের মাধ্যমে এর তীব্রতা কমানো সম্ভব। এই ব্লগ পোস্টে আমরা গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত, কি খাওয়া উচিত না এবং এর প্রতিকারের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
মনে রাখবেন, গলা ব্যথা সাধারণত কয়েক দিনের মধ্যে সেরে যায়। তবে যদি ব্যথা তীব্র হয়, ঢোক গিলতে খুব বেশি অসুবিধা হয়, জ্বর না কমে বা অন্যান্য অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দেয়, তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিলে আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।